প্রকৃতির ঐশ্বর্যময় সেরা উপাদানগুলোর মধ্যে সেরা সজিনা, আর এই সজিনা পাতা থেকে প্রস্তুতকৃত সজিনা পাউডার যা একটি প্রাকৃতিক পুষ্টিকর সম্পদ। এই প্রাকৃতিক পাউডার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, শক্তি বৃদ্ধি, হজম শক্তি উন্নত এবং সজিনা পাউডারে দুধ আর কলার চাইতে বেশি ক্যালসিয়াম আর পটাসিয়াম রয়েছে। এই সজিনা পাউডারে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন, ভিটামিন “A, B6, B7, B2, B3, ভিটামিন C, D, K এবং E” রয়েছে এবং এতে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা শরীরের সামগ্রিক সুস্থতায় অবদান রাখে। নারীদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সজিনা থাকলে উন্নত নারী/মাতৃ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব।
প্রধান উপকারিতা:
- ক্যান্সার প্রতিরোধ ও প্রতিকারে সাহায্য করে
- ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করে
- সজিনা পাউডার রক্তের শর্করা এবং কোলেস্টেরল কমায়
- হাড়, দাঁত, মাড়িকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে
- প্রচুর পরিমাণে এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে
- শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখ
- এ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে
- নির্ঘুমতা দুর করতে সাহায্য করে
- অপুষ্টি দুর করবার ক্ষমতা রাখে
- সজিনা পাউডার ওজন কমাতে সাহায্য করে
- ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে
- শারীরিক ক্লান্তি এবং মানসিক ক্লান্তি দুর করতে সাহায্য করে
ব্যবহার বিধি:
প্রতিদিন একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ দুই চামচ সজনে পাতার গুড়া খেতে পারবে।
১. পানিতে মিশিয়ে: স্বাভাবিক তাপমাত্রার এক গ্লাস পানিতে এক চামচ সজিনা পাতার গুড়া মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এটি খেতে হবে। দিনে দুইবার এটি খেতে হবে।
২. শরবত বানিয়ে: এক গ্লাস পানিতে সজনে পাতার গুঁড়ার সঙ্গে খাঁটি মধু ও লেবুর পানি মিশিয়ে নিতে হবে; স্বাদ ও রুচি অনুযায়ী এর সাথে জিরা গুড়া, আদা কুচিও মিশিয়ে নেয়া যায়।
৩. স্মুদি হিসেবে: যেই ফল পছন্দ হয়, সেই ফলের সাথে সজিনা গুড়া মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খাওয়া যায়।
৪. ভর্তা তৈরি করে: কালো জিরা, রশুন আর কাঁচা মরিচ হালকা ভেজে নিয়ে সরিষার তেল আর লবন সহ সজনে পাতার গুড়ার ভর্তা তৈরি করে গরম ভাতে খাওয়া যায়।
৫. স্যুপের সাথে: পছন্দের স্যুপ রেসিপিতে দুই চামচ সজিনা পাতার গুড়া যোগ করে স্যুপ তৈরি করে খাওয়া যায়।
সজিনা পাতার পাউডার একটি প্রাকৃতিক খাদ্য, এটির কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নাই।
BrandFly Agency –
Super food